বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ - ১২:২৩
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রধান দিকগুলো

হাওজা / ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। কাতার, মিশর এবং আমেরিকার মধ্যস্থতায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ১৯ জানুয়ারি রবিবার থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে। এই চুক্তি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। চুক্তি শেষে গাজা উপত্যকা ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলমুক্ত হবে। 

 চুক্তির বিস্তারিত এখানে দেয়া হল। 

চুক্তির ধাপসমূহ:

১. প্রথম ধাপ (মানবিক পদক্ষেপ):

- হামাসের হাতে থাকা বন্দিদের থেকে ৩৩ ইসরায়েলি মুক্তি পাবে। এরা মূলত নারী, শিশু, অসুস্থ এবং পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধরা।

- এদের মধ্য থেকে ৯ জন আহত/অসুস্থ ইসরায়েলির মুক্তির বিপরীতে ইসরায়েলের জেলে থাকা এবং যাবতজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১০ জন ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবে। 

-  ৮ অক্টোবর ২০২৪ এর পর গ্রেফতার করা গাজাবাসীর মধ্য থেকে ১০০০ জনকে মুক্তি দিবে দখলদার ইসরায়েল। এছাড়াও ৫০ এর বেশি বয়সী ইসরায়েলি ১ জন পুরুষ বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ৩ জন করে যাবতজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবে। একই ভাবে ৫০ এর বেশি  বয়সী ইসরায়েলি ১ জন পুরুষ বন্দির মুক্তির বিনিময়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত ২৭ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে। 

- এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ইসরায়েলি বন্দিদের প্রত্যেকের বিনিময়ে ৩০ জন করে ফিলস্তিনি মুক্তি পাবে। 

- ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে এবং গাজা ইসরায়েল সীমানার ৭০০ মিটারের বেশি ভিতরে থাকতে পারবে না। 

- বেসামরিক গাজাবাসীকে তাদের ঘরে ফিরতে দিবে। বিশেষ করে উত্তর গাজায় ফিরতে পারবে। যদিও নেটজারিম করিডোরে ইসরায়েলের কন্ট্রোল থাকবে। 

- দৈনিক ৬০০ ত্রাণের ট্রাক গাজায় প্রবেশ করার অনুমতি পাবে। 

- প্রথম ধাপ চালু হওয়ার ৭ দিন পর রাফাহ বর্ডার ক্রসিং খুলে দেয়া হবে। আহত গাজাবাসীকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে অনুমতি দিবে। যদিও এক্ষেত্রে ইসরায়েল এবং মিশরের অনুমতি লাগবে। 

- ইসরায়েলের সেনারা গাজা-মিশর সীমান্ত তথা ফিলাডেলফি করিডোর থেকে সৈন্য সড়াতে শুরু করবে। চুক্তির পঞ্চাশ দিনের মধ্য ওখান থেকে ইসরায়েল সব সৈন্য সরিয়ে নিবে। 

২. দ্বিতীয় ধাপ (বিস্তারিত আলোচনা):

- প্রথম ধাপে ইসরায়েল কৃত চুক্তির ধাপগুলো ঠিকঠাক মত পালন করলে দ্বিতীয় ধাপে হামাস তাদের হাতে থাকা সব ইসরায়েলি বন্দি ও  সৈনিকদের মুক্তি দিবে। 

- বিপরীতে, ইসরায়েল আরও বেশি সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিবে। 

- ইসরায়েল গাজা থেকে পুরোপুরি সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে। 

৩. তৃতীয় ধাপ (পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা):

দ্বিতীয় ধাপে সঠিক ভাবে শেষ হলে তৃতীয় ধাপ শুরু হবে। 
- এই ধাপে হামাসের হাতে থাকা বন্দিদের লাশ ফেরত দিবে। 
- বিপরীতে, আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের তত্ত্বাবধানে গাজার পুনর্গঠন, অবকাঠামো মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha